১৯৭৬ সালে ৯ ব্যাটালিয়নের একটি রিজার্ভ বাহিনী গঠন করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন নাম দেয়া হয়। বর্তমানে এই ব্যাটালিয়নের তত্ত্ববধায়ক হিসেবে একজন এডিশনাল আইজি আইজিপিকে সাহায্য করেন। নদী পথের জন্য একটি রিভার ব্যাটালিয়ন এবং কেবল নারী সদস্যদের নিয়ে একটি নারী ব্যাটালিয়নও আছে। তাছাড়া ভিভিআইপি প্রটেকশনের জন্য নবগঠিত দুইটি বিশেষায়িত স্প্যাশাল সিকিউরিটি এন্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন(এসপিবিএন) সহ সব মিলিয়ে বর্তমানে মোট ১৩ টি ব্যাটালিয়ন রয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের। নদীপথ বা দূর্গম পার্বত্য অঞ্চলসহ সব জায়গাতেই পুলিশের এই ব্যাটালিয়নগুলো কাজ করছে।
প্রতিটি ব্যাটালিয়নে পাঁচটি কোম্পানী থাকে, আর প্রতিটি কোম্পানী ৩ টি প্লাটুনে বিভক্ত। প্রত্যেক ব্যাটালিয়নে সব মিলিয়ে ৬৪৭ জন পুলিশ সদস্য থাকেন।
দায়িত্বঃ
১৯৭৯ সালের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই ব্যাটালিয়নকে যেসব দায়িত্ব দেয়া হয়েছে:
ক) অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষা।
খ) বেআইনী অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক প্রভৃতি উদ্ধার।
গ) সশস্ত্র অপরাধী চক্র গ্রেফতার।
ঘ) আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় অন্যান্য ইউনিটকে সহায়তা প্রদান।
ঙ) বিভিন্ন সময়ে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে কোন কাজ।
সাফল্যঃ
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য দেখিয়ে আসছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা দেয়া, গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান যেমন নির্বাচন আয়োজন, ভিআইপি নিরাপত্তা দেয়া প্রভৃতি দায়িত্ব পালনে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সুনাম কুড়িয়েছ। বিভিন্ন আন্ত: ইউনিট ক্রীড়া প্রতিযোগিতায়ও এই বিভাগের সাফল্য রয়েছে। এছাড়া ২০১০ সালের জুন থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তার সার্বিক দায়িত্ব নেবার পর থেকে সেখানকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং যাত্রী হয়রানি রোধে বিশেষ ভূমিকা রাখেছে।
৪ এপিবিএন, বগুড়া উত্তর বঙ্গের ১৬টি জেলায় মাদক ও চোরাচালান উদ্ধার অভিযানে বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছে। এছাড়াও ৪ এপিবিএন, বগুড়া ক্যাম্প, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পাবনা, ৪ এপিবিএন, বগুড়া ক্যাম্প শাহ মখদুম বিমানবন্দর রাজশাহী, ৪ এপিবিএন, বগুড়া ক্যাম্প সৈয়দপুর বিমানবন্দর, ৪ এপিবিএন, বগুড়া ক্যাম্প দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস